ট্রেনের সামনে হঠাৎ কেউ চলে এলেও ব্রেক কষা হয় না, কেন জানেন?
বিবিধ ডট ইন: সমাজের সর্বস্তরের মানুষ থেকে আরম্ভ করে দেশের নিত্যযাত্রীদের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হল ট্রেন। প্রচন্ড ব্যস্ততার সময়ে অল্প খরচের সাথে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছোতে ক্রমশ যাত্রীসংখ্যা বাড়ছে ট্রেনপথে।
এইপ্রকার অবস্থায় ট্রেন না চলার দরুণ মানুষ থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীদের কিরকম দুরাবস্থার সম্মুখীন হতে হয় তা চোখে দেখেছেন সকলেই।
এবার অন্যদিকে রেলপথে যাতায়াতের অধিক সুবিধা থাকলেও একটি কারণের জন্য বারংবার প্রশ্নের সম্মুখীন হয় রেল। ট্রেনের গতিপথে অনেক সময়েই ভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে এবং তার ফলস্বরুপ প্রানহানির সংখ্যাও নেহাত কম হয়না। এই দুর্ঘটনাগুলির জেরে ট্রেন সময়মতো না থামার কারণে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষ এবং ক্ষোভের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয় চালককেও। প্রশ্ন এক্ষেত্রে উঠতেই পারে কি এমন কারণ যার জন্য ট্রেন চলতে চলতে হঠাৎ দাঁড়িয়ে যেতে পারেনা? আসুন সবিস্তারে জানা যাক..
সকলেই এ বিষয়ে অবগত যে ট্রেনে একাধিক বগি থাকার কারণে অন্যসব যানবাহনের তুলনায় চাকার সংখ্যাও বেশী এবং এক্ষেত্রে পাইলটকে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হয় এতগুলো বগিকে একত্রে রেলট্র্যাকে চালানোর জন্য।
ট্রেনের ব্রেক খুব ধীরে কাজ করার ফলে হঠাৎ জোরে ব্রেক কষলে লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায় ট্রেনটির এবং সেমতাবস্থায় কোনো একজনকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যুর সামনাসামনি হন শয়ে শয়ে যাত্রী। সেই কারণে কোনো স্টেশনে ঢোকার মুহুর্তের বেশ কিছু আগে থেকেই গতি কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের। প্রয়োজনবশত চালক এমারজেন্সির জন্য জোরে ব্রেক কষলেও ট্রেন গিয়ে থামে বেশ কিছু মুহুর্ত পরে। আবার চেন ধরে টান দিয়ে ট্রেন থামাবার উপক্রমেও ঘটে সেই একই ঘটনা।
রাতের আলো আঁধারিতে দুরের জিনিস স্পষ্ট দেখার জন্য আলো জ্বেলে দেওয়া হয় ট্রেনে এবং ট্রেন স্টেশনের কাছাকাছি আসার আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বনে হর্ন দেওয়া হয়ে থাকে যাতে কোনো ব্যাক্তি লাইন থেকে সরে গিয়ে বিপদ এড়াতে পারেন। এত কিছুর পরেও ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি কেউ ট্রেনের সামনে চলে আসেন সেক্ষেত্রে তাঁকে বাঁচানো আর সম্ভবপর হয়ে ওঠেনা।।